সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪

বাংলা নববর্ষ-১৪২১

  অবতরণিকার সকল পাঠক ও শুভাকাংঙ্খীদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা-১৪২১

বুধবার, ২৩ মে, ২০১২

বাদর লাটি


বাদর লাটি বা সোনালু একটি বনজ উদ্ভিদ। হলুদ রং এর ফুল ও লাটির মত ফল বলে গ্রাম্য ভাষায় এটাকে সবাই বাদর লাটি বলে থাকে। এর ঔষধি গুনও কম নয় ।

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

মশা কামড়ালে ফুলে যায় কেন?

স্ত্রী মশা রক্ত খাবার জন্য মানুষের শরীরের রোমকূপের গোড়া দিয়ে হুল ফুটানোর পরে তাদের চাহিদা মতো রক্ত চুষে খায়। কিন্তু মশাদের জন্য সমস্যা হলো, মানুষের রক্ত বেশ দ্রুতই জমাট বেঁধে যায়। আর একবার জমাট বেঁধে গেলে তো মশারা আর রক্ত খেতে পারবে না। তাই তারা রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে সেজন্য স্যালাইভা নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এই স্যালাইভা বিভিন্ন প্রোটিন নিয়ে তৈরি হয়। এটি যে অংশে মশা কামড়িয়েছে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এতে করে মশার মুখে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। আর তারা আরাম করে রক্ত খেতে পারে। মশার মুখ থেকে আসা এই স্যালাইভা মানুষের শরীরে বিভিন্ন রিঅ্যাকশন ঘটায়। স্যালাইভার রিঅ্যাকশনের ফলে মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বা কিছুক্ষণ পরে জায়গাটি ফুলে যায় এবং চুলকাতে থাকে।

পৃথিবীতে সৌর ঝড়

সূর্য পৃষ্ঠে এক বিস্ফোরণের পর একটি শক্তিশালী সৌর ঝড় পৃথিবীর বুকে আঘাত করেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ঝড়ের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ গ্যাসীয় অবস্থার চার্জিত সৌরকণা প্রতি সেকেন্ডে ২০০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। এই চার্জিত কণার নির্গমন সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন তথ্য নেই। তবে এর প্রভাবে বিদ্যুত্ স্যাটেলাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। একইসঙ্গে  বিমান চলাচলও ব্যাহত হতে পারে।  গবেষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই সৌর ঝড়ের প্রভাব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ হওয়ার কথা। তবে রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে ধরনের কোন বিঘ্ন ঘটার খবর পাওয়া যায়নি

বিবিসি ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভের গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে যতগুলো সৌর ঝড় পৃথিবীকে আঘাত করেছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এই ঝড়ের প্রভাব মেরু অঞ্চলে বেশি হবে। সে জন্যে মেরু অঞ্চল ব্যবহারকারী বিমানগুলোকে তাদের রুট পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তর মেরুতে মেরুপ্রভা দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা। তারা আরও জানিয়েছেন, সূর্যে এখন প্রজ্বলন চক্রের সক্রিয় অবস্থা বিরাজমান। উত্থান-পতন চলছে। সেখান থেকেই এই শক্তিশালী সৌর  ঝড়ের সৃষ্টি।  ২০১৩ সালে চূড়ান্তভাবে সক্রিয় হবে চক্রটি
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক এন্ড এটমোস্ফিয়ারিক এডমিনেস্ট্রেশনের (এনওএএ) গবেষকরা জানিয়েছেন, তিনটি স্তরে ঝড়টি গত মঙ্গলবার থেকেই পৃথিবীতে আসতে শুরু করে। প্রথম দফায় মঙ্গলবার শক্তিশালী সৌর তরঙ্গ পৃথিবীতে পৌঁছে। দ্বিতীয় দফায় বুধবার সৌর বিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হানে। মনে করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার এই সৌর ঝড়ের প্রভাব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ হওয়ার পর আকাশে স্থাপিত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে। আর স্যাটেলাইটের কার্যক্রম বিঘ্নিত হলে এর উপর নির্ভরশীল অন্যান্য ব্যবস্থা যেমন, গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেমের (জিপিএস) কার্যক্রম, বিমান চলাচল, টেলিফোন ইলেকট্রনিক সম্প্রচার মাধ্যমের কার্যক্রমেও বিঘ্ন  দেখা দিতে পারে। তাছাড়া সৌর ঝড়ের আঘাতে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেরকম কিছু হলে বিদ্যুত্ ব্যবস্থা, খনিজ তেল উত্পাদনও বিঘ্নিত হতে পারে।  এনওএএ কর্মকর্তা ডো বিসিকার জানিয়েছেন, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় থেকে আমাদের রক্ষা করে। সৌর ঝড় পৃথিবী থেকে চৌম্বক ক্ষেত্র সরিয়ে অন্য কোথায় নিয়ে যেতে পারবে না। তবে এটি চৌম্বক ক্ষেত্রে ঝাঁকি দিয়ে যাবে। আর চৌম্বক ক্ষেত্রে ঝাঁকি লাগলে তৈরি হবে বিদ্যুত্। যা পৃথীিবির বিদ্যুত্ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। ১৯৭২ সালে সৌর ঝড়ের আঘাতে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র নড়ে উঠে। ফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস রাজ্যে দূরপাল্লার টেলিফোন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। তাছাড়া ১৯৮৯ সালে একই ধরনের ঘটনায় কানাডার কুইবেক প্রদেশে ৬০ লাখ মানুষকে বেশকিছু সময়ের জন্যে অন্ধকারে থাকতে হয়েছিল